গত কয়েক মাস ধরে পারমাণবিক শক্তিধর উত্তর কোরিয়া টানা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে যাচ্ছে, যা ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। চিন্তা বাড়াচ্ছে পশ্চিমাদের, বাড়ছে কপালের ভাঁজ।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন যুদ্ধের একটা কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে পিয়ংইয়ং দাবি করে আসছে, তারা পুরোপুরি জ্বালানি নির্ভর মিসাইলের সফল পরীক্ষা করে আসছে।
গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে যাচ্ছে, পারমাণবিক শক্তিধর উত্তর কোরিয়া, যা এই অঞ্চলে উত্তেজনা দিনকে দিন বাড়িয়ে দিচ্ছে।
দেশটি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে গত দুই বছর ধরে প্রায় প্রতি মাসেই মিসাইল নিক্ষেপ ও অস্ত্র পরীক্ষা করে আসছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম নিজেই এসব পরীক্ষা তদারকি করেন।
পিয়ংইয়ং দাবি করছে, তারা জানুয়ারির শুরু থেকেই পুরোপুরি জ্বালানি নির্ভর মিসাইল ও পানির নিচে ড্রোন দিয়ে আক্রমণের সফল পরীক্ষা করে আসছে, যার মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্রও বহন করা সম্ভব হতে পারে।
জানুয়ারির শুরুর দিকে কিম জং আন ঘোষণা দেন যে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে পুর্নমিলনের সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছে, তার বর্ণনায় দক্ষিণ কোরিয়াই এখন তাদের ‘প্রধান শত্রু’।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইয়ল এ মাসে কেবিনেটে বলেন, যদি উত্তর থেকে কোনও ধরনের প্ররোচনা আসে তাহলে দক্ষিণ সেটা ‘হাজারগুণ শক্তিতে প্রতিরোধ করবে’।
সাবেক সিআইএ বিশেষজ্ঞ রবার্ট এল কার্লিন ও পরমাণু বিজ্ঞানী সিগফ্রাইড এস হেকার, এক প্রতিবেদনে বলেছেন, তাদের বিশ্বাস, ১৯৫০ সালের মতো, কিম জং আন যুদ্ধের একটা কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
যদিও বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ কোনও যুদ্ধ শুরু হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত নন। তবে কারও কারও শঙ্কা, সীমিত আকারে হলেও আক্রমণ দেখা যেতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক সেনাবাহিনীর কথা মাথায় রেখে উত্তর কোরিয়া আদৌ কি কোনও আক্রমণে যাবে?
ইউনিভার্সিটি অব নর্থ কোরিয়ার সিনিয়র রিসার্চার ইয়াং মো জিন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পরিস্থিতি ছোটখাট সংঘর্ষের দিকে এগোচ্ছে। তিনি বলেন, একটা যুদ্ধ হলে দক্ষিণ কোরিয়াতে হয়তো অনেক মানুষ মারা যাবে, কিন্তু সেটা কিম জং উন ও তার স্বৈরশাসনের ইতি ঘটাবে।
কিন্তু কারও কারও মতে কিম জং আন আসলে দেশের অভ্যন্তরে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই এসব করছেন।