রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

‘যে রিজার্ভ আছে তাতে ৯ মাসের খাবারও কিনতে পারবো’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রিজার্ভ রাখা হয় যাতে আপৎকালীন সময়ে তিন মাসের খাদ্যশস্য কেনা যায়। বাংলাদেশে বর্তমানে যে রিজার্ভ আছে তাতে তিন মাস কেন, ৯ মাসের খাবারও কিনে আনতে পারবো।

বুধবার (২৭ জুলাই) আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আমলে অর্থাৎ ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রিজার্ভ কত ছিল? তিন বিলিয়নের কিছু ওপরে ছিল। সেখান থেকে আমরা ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত রিজার্ভ বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। করোনাকালে আমাদের আমদানি বন্ধ ছিল। এরপর আমদানি করতে হয়েছে। আমদানি এবং উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে আমাদের রিজার্ভ খরচ করতে হয়েছে। আমরা বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিলাম। সেখানে তো আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয়েছে। এমনকি ভ্যাকসিন দিতে সিরিঞ্জ থেকে শুরু করে যা যা দরকার সেগুলো বিদেশ থেকে কিনে এনেছি। সেখানে বিরাট অঙ্কের টাকা আমরা খরচ করেছি। এটা মাথায় রাখতে হবে, যেসব শিল্প গড়ে উঠবে সেগুলো যখন প্রোডাকশনে যাবে তখন প্রচুর মানুষ লাভবান হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের রিজার্ভ থাকে কেন? কোনও আপৎকালীন সময়ে তিন মাসের খাদ্যশস্য কেনার মতো বা আমদানি করার মতো অর্থ যেন আমাদের হাতে থাকে । আমাদের এখন যে রিজার্ভ আছে তাতে তিন মাস কেন, ৬ মাস, ৯ মাসের খাবারও আমরা কিনে আনতে পারবো। কিন্তু পদক্ষেপ নিতে হবে যেন খাদ্যশস্য কিনতে না হয়। আমরা যাতে নিজে উৎপাদন করতে পারি। সাশ্রয়ী হতে হবে। আমরা ব্যাপক ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি, এখন মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে  এগুলো কেন তাদের চোখে পড়ে না আমি জানি না। আমি জানি যে যারা বুদ্ধিজীবী তারা অনেক কথা বলবেন।

পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, তারা পদ্মা সেতু নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তারা বলে পদ্মা সেতুতে রেল হচ্ছে, এই রেলে কে চলবে। দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ লঞ্চে চলাচল করে। এ নিয়ে তারা আর্টিকেল লেখে। এরা কি খেয়ে লেখে সেটা আমার কাছে এখন সন্দেহ। আর বাংলাদেশকে কতটুকু চেনে সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ। দক্ষিণাঞ্চলে কখনও গিয়েছে কিনা আমি জানি না। আরেকটা প্রতিষ্ঠান আছে, তারা সবকিছুতেই খারাপ দিক দেখে। ভালো কিছু চোখে পড়ে না তাদের। সুস্থ গণতান্ত্রিক সরকার দেশে এলে এটা তাদের পছন্দ হয় না  এগিয়ে যাচ্ছে এটা তাদের চোখে পড়ে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কথা দিয়েছিলাম প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ দেবো। আমরা বিদ্যুৎ দিয়েছি। কিন্তু বিশ্বব্যাপী একটা মন্দা দেখা দিয়েছে এবং সব উন্নত দেশগুলো বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হচ্ছে। আমরা বিপর্যয় যাতে না পড়ি তার জন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। সে কারণেই কিন্তু আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করছি। বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত রাখার আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি—এর মানে এই না যে বিদ্যুৎ একেবারে নাই বা শেষ হয়ে গেছে। ডিজেল আমাদের কিনতে হয় এটা ঠিক। কিন্তু অকটেন আর পেট্রোল আমাদের কিনতে হয় না। আমরা যে গ্যাস উত্তোলন করি সেখান থেকে বাই প্রোডাক্ট হিসেবে পেট্রোল পাই অকটেনও পাই। আমাদের অকটেনের যতটুকু চাহিদা তার থেকে আরও অনেক বেশি পেট্রোল এবং অকটেন আমাদের আছে। বরং অনেক সময় আমরা বাইরে বিক্রিও করি।

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে সরকার প্রধান বলেন, মানুষ সামনের দিকে যায় আর বিএনপির আমলে দেশ পিছনের দিকে চলে যাচ্ছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন আসে, আমি সবার সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। বিএনপি সেই নির্বাচনে কি করেছিল। এক একটা সিটে দুজন তিন জন করে তারা নমিনেশন দেয়। টাকার বিনিময়ে তারেক জিয়া লন্ডনে বসে আর ঢাকায় তাদের দুই নেতা একজন গুলশানে বসে আর একজন মতিঝিলে বসে নমিনেশন দেয়। সকালে একটা বিকালে একটা নমিনেশন দেয়। ৩০০ সিটে যদি কেউ ৭০০ নমিনেশন দেয় তাহলে তারা নির্বাচনে কী করবে? ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তাদের দুঃশাসনের যন্ত্রণা মানুষ ভোগ করেছে। সার চাইতে গেলে মানুষকে গুলি খেয়ে মরতে হয়েছে। বিদ্যুৎ চাইতে গেলে মানুষকে গুলি খেয়ে মরতে হয়েছে। শ্রমিক যখন তার মজুরির জন্য আন্দোলন করছিল রমজান মাসে ১৭ জন শ্রমিককে খালেদা জিয়া গুলি করে হত্যা করে। বিদ্যুতের জন্য যখন আন্দোলন হয় তখন গুলি করে মানুষকে হত্যা করে। এই অবস্থায় তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। এদের মানুষের জন্য কোনও মায়া দয়া ছিল না। কারণ, এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সবাইকে বলবো আমরা যে উন্নয়ন করেছি সেটা মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। মানুষ যাতে বিভ্রান্ত না হয় সেই কাজটা করতে হবে। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে অনেক চক্রান্ত আছে। তবে আমি বিশ্বাস করি, যত চক্রান্তই করুক এই অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাবো। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছু মোকাবিলা করতে হবে। আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে যেমন চলি, এরকম বৈশ্বিক যে দুর্যোগ সেটাও মোকাবিলা করে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো এই বিশ্বাস আমার আছে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাহুল হোসেন চাচ্চুর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ৷

Facebook
X
WhatsApp
Email
Telegram
সর্বশেষ
ফেসবুক নেটওয়ার্ক ও পার্টনার পেজ
মিডিয়া
Cover for Table Talk Uk
595,824
Table Talk Uk

Table Talk Uk

Table Talk UK Discusses the political and social issues of the country. Our only purpose is to expose social inconsistencies and politics in the face of accountability on the path to democracy and talk about the rights of people.

This message is only visible to admins.
Problem displaying Facebook posts. Backup cache in use.
PPCA Error: Due to Facebook API changes it is no longer possible to display a feed from a Facebook Page you are not an admin of. The Facebook feed below is not using a valid Access Token for this Facebook page and so has stopped updating.

Smash Balloon Custom Facebook Feed WordPress Plugin The Custom Facebook Feed plugin

সর্বশেষ সংবাদ জানতে—এখনই সাবস্ক্রাইব করুন!
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
কপিরাইট © 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত — লন্ডন মিরর।
সম্পাদক: হাসিনা আক্তার
সার্চ করুন
লগইন/সাইন আপ
সর্বশেষ সংবাদ জানতে—এখনই সাবস্ক্রাইব করুন!