মোংলা বন্দরে অবস্থানরত রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাবাহী বিদেশী জাহাজের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে জাহাজটির বন্দর ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উচ্চ আদালত পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত এ জাহাজটি মোংলা বন্দরে আটকাবস্থায় থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
হাইকোর্ট প্রেরিত আটকাদেশের প্রেক্ষিতে জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মোংলা বন্দরের হাড়বাড়ীয়ার ১১ নম্বর এ্যাংকরেজে ভেড়ে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি পানাগিয়া কানালা।
এ জাহাজটি মোংলা বন্দরে ভেড়ার আগেরদিন বুধবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের এডমিরালটি জুরিডিকশন জাহাজটিকে আটকাদেশ দেন। সেইসাথে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষকে জাহাজটির এনওসি প্রদানে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে উচ্চ আদালত।
জাহাজটির বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৯ লাখ ৪৫১ টাকার ক্ষতিপূরণ দাবীতে চায়নার সাংহাইয়ের সিসিএক্স শিপিং কোম্পানী লিমিটেডের পক্ষে মো. আবুল হাসান গত ১২ জুলাই উচ্চ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী জাহাজটিকে আটক করার আদেশ দেন।
শুক্রবার দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন আমিনুর রহমান বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ এম ভি পানাগিয়া কানালাকে আটক করার আদেশ দিয়েছে। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত জাহাজটি যাতে মোংলা বন্দর ত্যাগ করতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয় বন্দরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্টকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যেও চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং এন্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, উচ্চ আদালত জাহাজটির বিরুদ্ধে আটকাদেশ দিয়েছেন। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে এর একটি চিঠিও দিয়েছেন।
তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাহাজটির কয়লা খালাস কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। খালাসকৃত কয়লা রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে।