রাজধানীর আশুলিয়ায় বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হওয়া আড়াই বছরের এক শিশু দুপুরে একটি স্কুলের পেছনে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় শিশুটির গলায় গামছা পেঁচানো ছিল। ধারনা করা হচ্ছে, অপহরণকারী মৃত ভেবে শিশুটিকে ফেলে গেছেন। বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কা মুক্ত নয়।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে জিরাবো ইগ নাইট কিন্টার গার্ডেন স্কুলের পেছন থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আশুলিয়া জিরাবো পুকুর পাড়ে থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়।
শিশুটির নাম হুমায়রা। বাবার নাম মো. আজিজুল ইসলাম, পেশায় তিনি সবজি বিক্রেতা। মা জোসনা বেগম। শিশুটি পরিবারের সঙ্গে ওই এলাকায় থাকে।
জিরাবো ইগ নাইট কিন্টার গার্ডেনের পরিচালক জয়নাল আবেদিন তুহিন বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে স্কুলের পেছনে টোকাই একটি প্লাস্টিকের বস্তা পায়। তার ভেতরে একটি শিশুকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত ভেবে সেখানে স্থানীয় লোকজন ভিড় জমায়। এসময় শিশুটি নড়াচড়া করছিল না। তখন আমি এগিয়ে গিয়ে শিশুটিকে কৃত্রিমভাবে মুখ দিয়ে অক্সিজেন দেয়ার চেষ্টা করি। কয়েক বার করার পর শিশুটি নড়েচড়ে উঠে। পরে তাকে দ্রুত স্থানীয় নারী ও শিশু হসপিটালে নিয়ে যাওয়া এবং পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা ঢামেকে রেফার করেন। পরে সন্ধ্যায় ঢামেকে নেওয়া হয়।
শিশুটির বাবা বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিখোঁজের পর অনেক খুঁজেও পাওয়া যায়নি। আমার কোনো শত্রু নাই। তবে প্রতিবেশী শাহিনার সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধ হয়েছিল। তারা ধারনা, শাহিনা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শিশুটি ঢামেকের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস সেন্টারে (ওসেক) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চিকিৎসক ডা. তাওহিদ বিল্লাহ বলেন, আমরা যখন শিশুটি পাই, তখন খিচুনি হচ্ছিলো। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কা মুক্ত নয়। তবে চিকিৎসা চলছে।