যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘আগামী ১১ নভেম্বর যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর মহাসমাবেশের পর পুরো বাংলাদেশ থাকবে যুবলীগের দখলে। প্রতিটি অলিগলি দখল করে রাখবে নেতাকর্মীরা। তখন বুঝবে কত ধানে কত চাল। যুবলীগ অতন্দ্র প্রহরীর মতো আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারা সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে থেকে অব্যাহত রাখবে।’
শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
পরশ বলেন, ‘বিএনপি আজকে মানবাধিকারের কথা বলে, এদের আসলে কোনও লজ্জা নেই। আমি পাঁচ বছর বয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে ২১ বছর বিচার থেকে বঞ্চিত ছিলাম। তারা বিচার বন্ধ করে রেখেছিলো। আসলে এরা ভণ্ড আর প্রতারক। তারা শুরু থেকে দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। এখন তারা আবারও মানুষের অধিকার হরণের জন্য মাঠে নেমেছে। বিএনপির মনে অনেক কষ্ট, তারা অনেকদিন দুর্নীতি করতে পারছে না- এতে তাদের ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে।’ তিনি যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে বিএনপি জামায়াত চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে আরো একবার যুদ্ধের প্রয়োজন আছে। এই পরাজিত শক্তিকে যুদ্ধ করে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। তিনি পাল্টা চ্যালেজ্ঞ ঘোষনা করে বলেন রং পুরে বিএনপি মহাসমাবেশ করেছে আমরাও বিভাগীয় মহাসিমাবেশ করে দেখাবো তাদের থেকে ১০ গুন মানুষের সমাগম ঘটবে।’
সমাবেশে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘বিএনপি সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকের দল।’ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ডিউক চৌধুরী, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সকাল থেকে বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় থেকে হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে সমবেত হতে থাকেন। সকাল ১০টার আগেই পুরো জিলা স্কুল মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। একপর্যায়ে সমাবেশ মাঠ ছাপিয়ে একদিকে কাছারী বাজার অন্যদিকে ডিসির মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

















