যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালালেও, তাতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল উপাদান ধ্বংস হয়নি এবং এতে কর্মসূচিটি সম্ভবত মাত্র কয়েক মাস পিছিয়েছে, এমনটাই বলা হয়েছে একটি প্রাথমিক মার্কিন গোয়েন্দা মূল্যায়নে।
এই মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করেছে পেন্টাগনের গোয়েন্দা শাখা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (ডিআইএ) আগে প্রকাশিত হয়নি।
এর আগে গত শনিবার অত্যাধুনিক বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান ব্যবহার করে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায়—ফোর্দো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান—প্রচণ্ড শক্তিশালী ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা নিক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বোমা ৬০ ফুট কংক্রিট বা ২০০ ফুট মাটি ভেদ করে বিস্ফোরিত হতে পারে, যা গভীরতায় অবস্থিত স্থাপনাগুলো ধ্বংসের জন্য বিশেষভাবে তৈরি।
হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে “সামরিক ইতিহাসের অন্যতম সফল অভিযান” বলে অভিহিত করেন এবং দাবি করেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো “সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস” হয়েছে।
তবে ডিআইএর এই নতুন মূল্যায়ন সেই দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারা জানায়, ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলো এখনও কার্যক্ষম এবং ইউরেনিয়ামের মজুদ ধ্বংস হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে সিবিএস নিউজকেও এই তথ্য জানানো হয়েছে, যা ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির সহযোগী।
এদিকে হোয়াইট হাউস ডিআইএর এ মূল্যায়নকে “সম্পূর্ণ ভুল” বলে দাবি করেছে এবং বলেছে, এটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হেয় করার একটি প্রচেষ্টা। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে বলেন, “সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা এই অভিযানকে হেয় করার চেষ্টা করছে, অথচ এটি ছিল সামরিক ইতিহাসের এক যুগান্তকারী সাফল্য।”
এই হামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থামাতে সক্ষম হয়েছে কি না, সে বিষয়ে বিতর্ক চলছেই। তবে পেন্টাগনের মূল্যায়ন নতুন করে এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলছে।

















