যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আরও ৪১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এখন চলছে উদ্ধারকাজ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার অঙ্গরাজ্যের স্যান অ্যান্টোনিও শহরে প্রবল বর্ষণের ফলে সেখানকার গুয়াদালুপ নদীর পানি প্রায় নয় মিটার (২৯ ফুট) বেড়ে যায়। এতে আশেপাশের এলাকা তলিয়ে যায়। হঠাৎ ব্যাপক বন্যা হয়। নদীর ধারেই ছিল একটি খ্রিষ্টান গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প। সেখানে ৭৫০ শিশু অবস্থান করছিল। খবর সিএনএন ও বিবিসির
বন্যায় গুয়ারডালুপ নদীর তীরে অবস্থিত খ্রিস্টান মেয়েদের ‘ক্যাম্প মিস্টিক’ সম্পূর্ণভাবে প্লাবিত হয়। ক্যাম্পের ১০ জন মেয়ে ও তাদের এক পরামর্শক এখনো নিখোঁজ।
কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এলাকায় আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, যা উদ্ধারকাজে বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এরই মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা কাদা ও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বিষাক্ত সাপের সঙ্গে লড়াই করে এগিয়ে যাচ্ছেন।
বন্যার তিন দিন পরও টেক্সাসের ইতিহাসের অন্যতম বড় উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে, তবে সেটি এখন অনেকটা উদ্ধার থেকে উদ্ধার-পরবর্তী পুনরুদ্ধার অভিযানে রূপ নিচ্ছে।
কার কাউন্টিতে যেসব মরদেহ পাওয়া গেছে, সেগুলোর মধ্যে এখনো ১৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১০ জন শিশুর পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট রবিবার জানান, নিখোঁজ থাকা প্রত্যেককে খুঁজে বের করতে আমরা কোনো কিছুর কমতি রাখব না।
গুয়ারডালুপ নদীর পাশ দিয়ে যাওয়া দুই লেনের মহাসড়ক এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভাঙা বাড়ি, উপড়ে পড়া গাছ, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আসবাবপত্রে এলাকা যেন এক মৃত্যুপুরী। অনেক স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে আছে।
রোববার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কার কাউন্টিকে দুর্যোগ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন এবং ফেডারেল জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থাকে সহায়তা দিতে নির্দেশ দেন।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা ত্রাণ সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। কেউ খাবার, কেউ আশ্রয়, কেউ আবার জামাকাপড় ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করছেন।

















