পদার্থবিজ্ঞানে ২০২৫ সালের নোবেল বিজয়ীদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যৌথভাবে বিজয়ী এই তিন বিজ্ঞানী হলেন ব্রিটিশ নাগরিক জন ক্লার্ক, ফরাসি নাগরিক মিশেল দেভোরে এবং আমেরিকান নাগরিক জন মার্টিনিস।
তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব আবিষ্কারের জন্য। বিশেষ করে ‘বৈদ্যুতিক সার্কিটে ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং শক্তির কোয়ান্টাইজেশনের আবিষ্কারের’ জন্য।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকাল তিনটা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে ২০২৫ সালের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স।
নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীরা পাবেন একটি মেডেল, একটি সনদপত্র এবং মোট ১২ লাখ মার্কিন ডলার। একই বিভাগে একাধিক নোবেলজয়ী থাকলে, তাদের মধ্যে পুরস্কারের অর্থ ভাগ হয়ে যায়।
কমিটি জানায়, এই বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে, কোয়ান্টাম জগতের অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যগুলো এমন একটি সিস্টেমে বাস্তব রূপ নিতে পারে, যা হাতে ধরা যায় এমন।
জন ক্লার্ক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি এই পুরস্কার পেয়ে ‘পুরোপুরি হতবাক’ হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা কখনোই ভাবিনি যে ১৯৮০-এর দশকে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলেতে করা আমাদের গবেষণা নোবেল পুরস্কারের ভিত্তি হতে পারে।
গত বছর ২০২৪ সালে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন জিওফ্রে হিন্টন, যিনি প্রায়শই ‘এআই-এর গডফাদার’ নামে পরিচিত এবং জন হপফিল্ড। তারা মেশিন লার্নিং-এ মৌলিক আবিষ্কারের জন্য পুরস্কৃত হন, যা আজকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের পথ প্রশস্ত করেছে। এছাড়া, ২০২৩ সালে তিনজন ইউরোপীয় বিজ্ঞানী এই পুরস্কার পান। তারা লেজার ব্যবহার করে ইলেকট্রনের দ্রুত গতিবিধি বোঝার জন্য কাজ করেছিলেন, যা আগে অসম্ভব বলে মনে করা হতো।
প্রতিবছর পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে নোবেল ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স। আর চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল ঘোষণা করে সুইডেনের স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট।

















