সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আটকে দেওয়া অস্ত্রের চালান ইসরায়েলে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজারের বেশি অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। খবর রয়টার্সের। বাইডেন এই অস্ত্র বিক্রি স্থগিত রেখেছিলেন, কারণ এই অস্ত্র উগ্রপন্থি ইসরায়েলিরা বসতি স্থাপনে ব্যবহার করতে পারে এমন ধারণা করেছিলেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গত ৬ মার্চ কংগ্রেসে একটি নোটিফিকেশন পাঠায়। যেখানে ২৪ মিলিয়ন ডলারে ৫.৫৬ মিলিমিটার ক্যালিবার সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় কোল্ট কারবাইন রাইফেলের বিক্রির কথা উল্লেখ করা হয়।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, এই রাইফেলের ব্যবহারকারী হবে ইসরায়েলি ন্যাশনাল পুলিশ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছে যে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করেছে তার তুলনায় এই চালান খুবই ছোট বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এটি নজরে আসে যখন বাইডেন প্রশাসন এই বিক্রির প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে— উদ্বেগ ছিল যে, এই অস্ত্রগুলো ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হাতে পৌঁছেছে, যাদের কেউ কেউ ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এজন্য বাইডেন প্রশাসন পশ্চিমতীরে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ও সংস্থাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। ওই অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে গত ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশ জারি করে ইসরায়েলের পশ্চিমতীরে বসতিকারীদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন।
যা যুক্তরাষ্ট্রের আগের নীতির এক বড় বিপরীত পদক্ষেপ। তারপর থেকে ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরায়েলকে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। গত ৬ মার্চের কংগ্রেসকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছিল, মার্কিন সরকার রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক, মানবাধিকার এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক বিবেচনাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অস্ত্র ব্যবহারে ইসরাইলের কাছ থেকে কোনো নিশ্চয়তা নেওয়া হয়েছে কি-না, এ বিষয়ে জানতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে রয়টার্স যোগাযোগ করলে তাতে কোনো সাড়া দেয়নি।
