শুক্রবার , ২৭ জুন ২০২৫ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. খুলনা
  7. খেলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

ভারত থেকে মুসলিমদের বিতাড়নের অভিযোগ, আতঙ্কে বাঙালি মুসলমানেরা

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুন ২৭, ২০২৫ ৫:৪৬ অপরাহ্ণ

ভারত বিনা বিচারে শত শত মানুষকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই বিষয়টি দুই দেশের কর্মকর্তারাও নিশ্চিত করেছেন। মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবীরা বলছেন, এই নির্বাসন বা বিতাড়ন প্রক্রিয়াটি বেআইনি এবং জাতিগত পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে চালানো হয়েছে।

ভারতের দাবি, যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তারা ‘অবৈধ অভিবাসী’। কিন্তু মানবাধিকারকর্মীদের ভাষ্য, এই প্রক্রিয়া বেআইনি এবং ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত। শুক্রবার (২৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার দীর্ঘদিন ধরেই অভিবাসন, বিশেষ করে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। শীর্ষ কর্মকর্তারা অতীতে এসব অভিবাসীদের ‘উইপোকা’ বা ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

এতে ভারতের প্রায় ২০ কোটির মতো মুসলমান, বিশেষ করে বাংলা ভাষাভাষী মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

“মুসলমানরা এখন ভয়ে আছে”

ভারতের বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী হর্ষ মন্দার বলেন, “বিশেষ করে দেশের (ভারতের) পূর্বাঞ্চলের মুসলমানদের মধ্যে ভীষণ ভয় ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। যেন তাদের অস্তিত্বই এখন হুমকির মুখে।”

২০২৪ সালে ঢাকায় সরকার পতনের পর দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়। বাংলাদেশ — যেটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে ভারতের স্থলসীমানায় ঘেরা — অতীতে ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল।

কাশ্মির হামলার পর লাগামহীন দমন-পীড়ন

গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাম্মিরে ২৬ জন — যাদের বেশিরভাগই হিন্দু পর্যটক — নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে। যদিও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করে। এর জেরে চারদিনের সীমান্ত সংঘাতে ৭০ জনের বেশি প্রাণ হারায়।

এই ঘটনার পর ভারতজুড়ে নজিরবিহীন নিরাপত্তা অভিযান শুরু হয়। হাজার হাজার মানুষকে আটক করা হয় এবং অনেককেই বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে গিয়ে বন্দুকের মুখে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

‘দাঁড়াবে না, না হলে গুলি করব’

আসামের রহিমা বেগম নামে এক নারী জানান, গত মে মাসের শেষদিকে তাকে পুলিশ কয়েকদিন আটকে রাখে। পরে পাঁচজন মুসলিমসহ তাকে বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। রহিমা বলেন, “আমার জন্ম, বাবা-মা, দাদা-দাদি — সবাই এখানকার। জানি না কেন আমাদের সঙ্গে এমন করা হলো।”

এএফপি বলছে, রাতের অন্ধকারে তাদের জলাভূমির দিকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বলা হয়, “ওই দূরের গ্রামে হামাগুড়ি দিয়ে পৌঁছাও। দাঁড়াতে চেয়ো না, দাঁড়ালে গুলি করে দেব।”

বাংলাদেশের স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের খুঁজে পেয়ে বর্ডার গার্ডের কাছে তুলে দেয়। এরপর বাংলাদেশি বাহিনী তাদের মারধর করে এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে ফিরে যেতে বলে। ফিরে যাওয়ার সময় সীমান্তের ওপার থেকে গুলি ছোঁড়া হয় বলে রাহিমা জানান। তার ভাষায়, “আমরা ভেবেছিলাম, এখানেই শেষ। সবাই মারা যাব।”

এক সপ্তাহ পর তাকে ফের আসামে এনে ছেড়ে দেওয়া হয়, তবে সতর্ক করে দেওয়া হয়—“চুপচাপ থাকো”।

“আইনের কোনো বালাই নেই”

নয়াদিল্লিভিত্তিক আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে বলেন, “কোনও রাষ্ট্র কাউকে ফেরত পাঠাতে পারে না যদি না গ্রহণকারী রাষ্ট্র তাদের স্বীকার করে। আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াও কাউকে নির্বাসন দেওয়া বা বিতাড়ন করা বেআইনি।”

বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, চলতি বছরের মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে ১৬০০ জনকে সীমান্তে ঠেলে পাঠানো হয়েছে। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমে দাবি, প্রকৃত সংখ্যা ২৫০০ জনেরও বেশি।

বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা বলছে, ফেরত পাঠানোদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক ছিলেন, যাদের তারা আবার ভারতে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

“ঘৃণাভিত্তিক অভিযানের শিকার মুসলিমরা”

অধিকারকর্মীরা বলছেন, মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) শাসিত রাজ্যগুলোতেই বেশি নির্যাতন চলছে, যেখানে অনেকেই নিম্নবেতনভোগী শ্রমিক — তাদের বেশিরভাগই বাংলা ভাষাভাষী মুসলমান।

গুজরাটের পুলিশপ্রধান জানিয়েছেন, রাজ্যজুড়ে ৬৫০০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের অনেকেই বাংলা ভাষাভাষী ভারতীয় ছিলেন, পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। হর্ষ মন্দার বলেন, “বাংলা ভাষায় কথা বলা মুসলমানদের একটি নির্দিষ্ট চিন্তাধারাভিত্তিক ঘৃণানীতির অংশ হিসেবে টার্গেট করা হচ্ছে।”

“আমার পরিচয় দেখালাম, বিশ্বাস করল না”

৩৫ বছর বয়সী নির্মাণশ্রমিক নাজিমুদ্দিন মণ্ডল জানান, মুম্বাই থেকে তাকে পুলিশ তুলে নেয়, এরপর সামরিক বিমানে করে ত্রিপুরা সীমান্তে নিয়ে যায় এবং জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। পরে তিনি কোনোভাবে ফিরে এসে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে আছেন।

তিনি বলেন, “আমি সরকার-প্রদত্ত পরিচয়পত্র দেখালাম, কিন্তু তারা শুনতেই চায়নি। এখন কাজে বের হতেও ভয় লাগে।”

সর্বশেষ - আইন-আদালত

আপনার জন্য নির্বাচিত

এগিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি, পায়রা-মোংলায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

ঢাবির হলে ‘মদের আসর’ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোন কক্ষে কে থাকবেন, ঠিক করে ছাত্রলীগ

সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, নতুন এলাকা প্লাবিত

ইস্তাম্বুলে রাশিয়া-ইউক্রেনের আলোচনায় যাচ্ছেন না পুতিন

বিএনপি কত টাকা পাচার করেছে শেখ হাসিনা খতিয়ে দেখছেন: কাদের

রুদ্ধশ্বাস সমতায় শেষ বায়ার্ন-ডর্টমুন্ড ডার ক্লাসিকার

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের কৌশলগত সংলাপ আজ

প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ে বাড়ল ডলারের দাম, রেমিট্যান্সে ডলারে ১০৮, রপ্তানিতে ১০৬

জনগণকে বাদ দিয়ে দূতাবাসে ধরনা দিচ্ছে বিএনপি: কাদের