বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিস্ফোরক মন্তব্য এক ধরনের ধোঁয়াশার জন্ম দিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, তার মা পদত্যাগ করেননি।
শেষ পর্যন্ত সব স্পষ্ট হয়ে এলো।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নীরবতা ভেঙেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিদেশি শক্তিকে দায়ী করেছেন।
শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ।
ওয়াশিংটন থেকে রয়টার্সকে সজীব ওয়াজেদ বলেন, আমার মা আনুষ্ঠানিকভাবে কখনোই পদত্যাগ করেননি। তিনি সময় পাননি… আমার মা নিজের ব্যাগ পর্যন্ত গোছাতে পারেননি। সংবিধান অনুযায়ী তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
তবে শেখ হাসিনা নিজেই জানালেন তিনি পদত্যাগ করেছেন। সমর্থক ও দলের নেতাদের উদ্দেশে দেওয়া বার্তায় হাসিনা পদত্যাগ করার কথা স্বীকার করেন।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী পরাজয় মেনে নিয়ে দেশে ফেরার অঙ্গীকার করেন।
হাসিনা বলেন, আমি শিগগিরই ফিরব, ইনশাল্লাহ। এ পরাজয় আমার, তবে জয় বাংলাদেশের মানুষের।
তিনি বলেন, আমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। আপনারা সহযোগিতা করেছিলেন বলে আমি ছিলাম। আপনারা ছিলেন আমার শক্তি। আপনারা আমাকে আর চাননি। তাই আমি সরে এসেছি, পদত্যাগ করেছি। আমার যারা কর্মী আছেন, কেউ মনোবল হারাবেন না। আওয়ামী লীগ বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার কথা বিকৃত করার অভিযোগও তুলেছেন। বার্তায় তিনি বলেন, আমি তরুণ শিক্ষার্থীদের আবারো বলতে চাই, আমি তোমাদের রাজাকার বলিনি… আমার কথা বিকৃত করা হয়েছে। তোমাদের বিপদের সুযোগ নিয়েছে একটি মহল।
এদিকে হাসিনার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিদেশি শক্তি তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে রয়েছে। বার্তায় তিনি বলেন, আমেরিকাকে সেন্ট মার্টিন ও বঙ্গোপসাগর দিয়ে দিলে আমি ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। বার্তাটি ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য প্রিন্টও পেয়েছে












The Custom Facebook Feed plugin