নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল পুনর্বহাল চেয়ে আবেদন করেছে জামায়াতে ইসলামী। রোববার দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির চেম্বার আদালতে এই আবেদন করেন।
এদিন বিকেলেই চেম্বার বিচারপতি আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠাতে পারেন বলে জানিয়েছেন শিশির মনির।
তিনি বলেন, আপিল পুনর্বহাল করলে মেরিটের ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে। এই আদালত শুনানির পর আপিলের অনুমতি দিলে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন ফিরে পাবে এবং নির্বাচনে অংশ নেবে।
আদালতের আদেশে নির্বাচনে কমিশনে নিবন্ধন হারিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ রিট করেন।
রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন।
রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দুইবার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দুইবার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।
২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হয়। একই বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।
এরপর জামায়াতের পক্ষ থেকে আপিল করা হয়। গত বছরের ১৯ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জামায়াতে ইসলামীর আপিল ‘ডিফল্ট’ বলে খারিজ করে দেন।
জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আপিল বিভাগ এর আগে পূর্ণাঙ্গ শুনানি ছাড়াই হাইকোর্টের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। অক্টোবরে আদালত খোলার পর আপিলের পূর্ণাঙ্গ শুনানি হতে পারে।












The Custom Facebook Feed plugin