নির্বাচনের যতো বেশি দেরি হবে, ষড়যন্ত্রের ডালপালা ততো ছড়াবে। পালিয়ে যাওয়া শক্তি তাদের অবৈধ সম্পদ ষড়যন্ত্রে ব্যয়ের শংকাও জানান তিনি। তারেক রহমান বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া কোন সংস্কারই পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
বৈষম্যহীন দেশ গড়তে হলে সবার রাজনৈতিক অধিকার আর ভোটের অধিকার নিশ্চিত করলেই হবে না, ভোট প্রয়োগের অধিকারও নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।আজ সোমবার চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের আহত ফটো সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সঙ্গে খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ মতবিনিময় সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘যে দেশের মধ্যে মানুষের মৌলিক অধিকার থাকবে এমন একটি দেশ মানুষের প্রত্যাশা। সে তার রাজনৈতিক অধিকার পাবে, সেইসঙ্গে তার অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও থাকবে। বৈষম্যহীন দেশ গড়তে হলে অবশ্যই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকরা মানুষের দুঃখ-দুর্দশা তুলে ধরেন ছবির মাধ্যমে। কিন্তু গত ১৫ বছরের বিভিন্ন সময় ইচ্ছে থাকলেও তাদের অনেক সংবাদ প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি। তাদের রাজনৈতিক অধিকারসহ অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যারা দেশের ভালো চিন্তা করে, তাদের সবার উদ্দেশ্য এক। সবাই একটা দেশ চায়, যেখানে তার অর্থনৈতিক স্বাধীনতাসহ মৌলিক অধিকার থাকবে।’
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি আগাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন যেসব সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, বিএনপি সেগুলোর জন্য অনেক আগে থেকেই বলছে। এর লক্ষ্য একটি, গণতান্ত্রিক দেশ গড়ে তোলা। যেখানে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার অর্থনৈতিক মুক্তি থাকবে।’