প্রধানমন্ত্রী নয়, মন্ত্রীপরিষদ শাসিত সরকার চায় এনসিপি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠকে দলটির পরামর্শ, এক ব্যক্তি ২ বারের বেশি যেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হতে না পারে। এছাড়াও সংবিধানে আদৌ কোন মূলনীতি থাকা দরকার কিনা এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দলটি।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দিনব্যাপী জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংসদ ভবনের এলডি হলে সংস্কার কমিশনগুলোর ১৬৬টি সুপারিশের ওপর মতামত জানাতে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির বৈঠক হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, সংরক্ষিত নারী আসন, অর্থ বিল এবং সরকারের প্রতি অনাস্থা বাদে অন্যান্য বিষয়ে ৭০ এর অনুচ্ছেদ সংস্কারে ব্যাপক জোর দেয় দলটি।
পৌনে ৫টায় বৈঠক শেষ হলে এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, নতুন করে অনেকগুলো বিষয়ে একমত হয়েছেন তারা।
এনসিপি চায়, প্রধানমন্ত্রী শাসিত নয়, সরকার হবে মন্ত্রীপরিষদ শাসিত। সংবিধানের মূলনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে এনসিপি। তাদের মত, এতদিন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিত। তাই মূলনীতি বাতিল চায় তারা।
এনসিপি নেতারা বলেন, কোনো দল ও গোষ্ঠীর স্বার্থে যদি সংস্কার আটকে যায়, তাহলে জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে। স্বাধীন কমিশনের মাধ্যমে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে এনসিপি।
সদস্য সচিব আখতার হোসেন জানান, নির্বাচন পেছানোর পক্ষে নয় এনসিপি। তবে জুলাই গণহত্যার বিচার এবং দৃষ্যমান সংস্কারের রোডম্যাপ ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এনসিপি।
কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, যে সকল বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত তা চিহ্নিত করা হচ্ছে।
রোববার বিএনপির সঙ্গে আবারো বৈঠকে বসবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ২৩ এপ্রিল জামায়াতে ইসলামীর মতামত নেয়া হবে। পরে ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য দলের সঙ্গেও বসবে ঐকমত্য কমিশন। নির্বাচনের আগে দলগুলোকে এক ছাতার নিচে আনার প্রয়াস কমিশনের।


















