যারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চেয়েছিল, রক্তস্নাত জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের পতন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
এতে নতুন বাংলাদেশ গড়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শহীদের রক্ত যেন বৃথা না যায়, তাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ব্যবস্থা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। যে কোনো মূল্যে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তির বিশেষ অনুষ্ঠানে গুলশানের ফিরোজা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি গুম, খুন ও বিচারভহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার তাগিদ দিয়ে আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সম্মানজনক পুনর্বাসন ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যেকোনো মূল্যে বীরের এই রক্তস্রোত, মায়ের অশ্রুধারা যেন বৃথা না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে শহীদ জিয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করি। বাস্তবায়িত করি কোটি মানুষের নতুন বাংলাদেশের নির্মাণের স্বপ্নকে।
এ আন্দোলনের নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে।
অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
প্রতিশোধ প্রতিহিংসা নয়, শুরু হোক ভালো কিছুর প্রতিযোগীতা, বাংলাদেশ ফিরুক গণতন্ত্রের আলোয়- আশাবাদ জানিয়ে তিনি নতুন নতুন ইস্যু সামনে এনে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে ফাঁটল না ধরাতে সবার প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত ‘জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়।












The Custom Facebook Feed plugin