সামনের সময়গুলো ভালো নয় মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অনেক কঠিন সময় অপেক্ষা করছে, ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তবে এগুলো রুখে দিতে পারে জনগণ, গণতন্ত্র। তবে ষড়যন্ত্র রুখলেও সামনে কঠিন সময়; আবারও এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে অরাজকতা চলছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি সরকার গঠনের সুযোগ পেলে সবার আগে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, দেশ, জাতিকে নেতৃত্ব দিতে হলে পরিকল্পনা থাকতে হবে। সেই পরিকল্পনা নিয়েই আগাচ্ছে। এজন্য যোগ্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দুর্নীতির লাগাম টানা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। নয়তো যতো পরিকল্পনাই নেওয়া হোক তা বাস্তবায়ন হবে না।
দেশ গড়ার পরিকল্পনা সফল করতে হলে, দেশকে সামনে নিয়ে যেতে হলে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে; যোগ করে তিনি।
তারেক রহমান বলেন, দেশ স্বাধীনের পরে দেশ যখন সঙ্কটের মধ্য দিয়ে গেছে, তখন বিএনপি অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছে, উন্নতি ঘটিয়েছে।
জাতীয় সরকার গঠন সম্পর্কে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বৈরাচার পতনের দিন মহাসচিব মির্জা ফখরুল জানতে চেয়েছিলেন, জাতীয় সরকার গঠন করা হবে কি না। সেদিন আমরা বলেছিলাম, আমরা জনগণের কাছে যাবো, জনগণের রায় মাথা পেতে নেবো। কারণ আমরা মনে করি, জনগণই আমাদের ক্ষমতার উৎস, তাই জনগণের সামনে গিয়ে আমরা দাঁড়াবো।
রাজনীতির ময়দানে জান্নাতে টিকেট দেওয়া প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, বেহেশত বা দোজখ দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ, এগুলো যারা বলে তারা শিরক করছে। পরকালে কে কোথায় যাবে, তার সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার একমাত্র সৃষ্টিকর্তার।
সংস্কার সম্পর্কে তিনি বলেন, সংস্কার প্রস্তাব অনেক আগেই দিয়েছে বিএনপি। ৩১ দফার মধ্য দিয়ে কীভাবে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায় সেই কথাই মানুষের কাছে নিয়ে গেছে বিএনপি।


















