আগের ৯টি ধারা বাতিল করে সাইবার সুরক্ষা আইন সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশে জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। যেখানে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইন জুয়াকে নিষিদ্ধ করা, প্রথমবারের মতো সাইবার স্পেসে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং যৌন হয়রানিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিকাল ৩টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত এসেছে। যা আগের আইনে ছিল না।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত আইন সংশোধনীর অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ইচ্ছে মতো নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত আইনের একটা মিসটেকের কারণে নির্বাচন কমিশন কাজ করতে পারছিল না। নির্বাচন কমিশন অনুরোধ করেছে সেটা সংশোধন করার জন্য। আমরা আইনটা সংশোধন করে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এখন সীমানা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে তা তারা এই আইন গেজেট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু করে দিতে পারবেন। বলতে পারেন ২/৪ দিনের মধ্যেই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।