নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে সর্বোচ্চ আদালতে চূড়ান্ত আপিল শুনানি চতুর্থ দিনের মতো শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। গেলো বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ তৃতীয় দিনের শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী শিশির মনির।
এর আগে গত মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার তিনদিন শুনানি করেছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে আইনজীবী ড. শরীফ ভূইয়া ও ইন্টারভেনার হিসেবে শুনানি করেছিলেন আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক।
চলতি বছরের আগস্ট মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।
১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। ১৯৯৮ সালে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়, যা ২০০৪ সালে খারিজ করা হয়। পরে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়।
এরপর একই বছরের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী, যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়।
পরে এ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এছাড়া নওগাঁর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও একই আবেদন করেন।


















