শুক্রবার , ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

ঢাকার সঙ্গে সুসম্পর্ককে গুরুত্ব দিচ্ছে বেইজিং

প্রতিবেদক
Newsdesk
জানুয়ারি ১৭, ২০২৫ ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। জুলাই বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার আমলেই মূলত বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছায়। সেই সরকারের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত সুসম্পর্ক বজায় ছিল চীনের। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকেও শুরু থেকেই সমর্থন দিয়ে আসছে চীন। অর্থাৎ বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান সুসম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারেই আগ্রহী বেইজিং।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে চীন একদিকে যেমন অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে, তেমনি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগও বাড়িয়েছে। এর অংশ হিসেবে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সম্প্রতি দেশটি সফর করে এসেছেন বিএনপি, জামায়াতসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এর ধারাবাহিকতায় এবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ২০ জানুয়ারি পাঁচ দিনের সফরে বেইজিং যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তার এ সফর নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৈঠকে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি যৌথভাবে বাংলাদেশ-চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগীও। বিশেষ করে পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন আর্থিক ও প্রকৌশলগত সহযোগিতা দিয়ে আসছে বাংলাদেশকে। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্র, সড়ক, সেতুসহ বাংলাদেশের বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে চীনের।

এ ছাড়া সামরিক দিক থেকেও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দশকের পর দশক ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সমরাস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জামের বেশিরভাগই আসে চীন থেকে। প্রতিরক্ষা খাতবিষয়ক আন্তর্জাতিক থিঙ্কট্যাঙ্ক সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আমদানি করা সমরাস্ত্রের ৭২ শতাংশই সরবরাহ করে চীন। শুধু সেনাবাহিনীই নয়, বাংলাদেশের নৌবাহিনীর বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বেইজিং। যার উদাহরণ চট্টগ্রামে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বিএনএস শেখ হাসিনা’, যেখানে ছয়টি সাবমেরিনের পাশাপাশি আটটি যুদ্ধজাহাজ অবস্থান করতে পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যুক্ত হওয়া দুটি সাবমেরিনের সরবরাহকারীও চীন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আসন্ন চীন সফর ইতিবাচকভাবেই দেখছেন অধ্যাপক ওবায়দুল হক। তিনি বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে এসব ভিজিট হয়েই থাকে। এতে দুই দেশের বাণিজ্যসহ নানা দিক নিয়ে আলোচনায় বসারও একটা সুযোগ হচ্ছে তাদের। তাই উপদেষ্টাকে ডাকায় আমাদের জন্য ইতিবাচক।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক