বাংলাদেশে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে মনোনয়ন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে হোয়াইট হাউজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
একই দিনে আরও বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতের মনোনয়ন দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মনোনয়নপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের তালিকায় রয়েছে ভারতের নামও। তালিকাটি সিনেটে পাঠানো হবে। এরপর দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূতেরা।
বাংলাদেশে মনোনয়ন পাওয়া রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক জন সিনিয়র ফরেন সার্ভিস সদস্য। প্রভাবশালী এই কূটনীতিক এর আগে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ক্রিস্টেনসেন ন্যাশনাল ওয়ার কলেজ থেকে জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল বিষয়ে মাস্টার অব সায়েন্স ডিগ্রিসহ ডিস্টিংগুইশড গ্র্যাজুয়েট হিসেবে ২০২২ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি টেক্সাস এএন্ডএম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে মাস্টার্স এবং রাইস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকোনমিকস ও ম্যানেজারিয়াল স্টাডিজে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি স্প্যানিশ, জার্মান ও ভিয়েতনামি ভাষায় কথা বলতে পারেন এবং ফরাসি, জাপানি ও পর্তুগিজ ভাষা শিখেছেন। ২০০২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগদানের আগে তিনি হিউস্টন ও নিউ ইয়র্ক সিটিতে ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন।
এখন সব ঠিক থাকলে এবং সিনেটে পাস হলেই রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন ব্রেন্ট। হাস গতবছর বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিদায়ের পর অবসরে যান। এরপর মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ অবসরপ্রাপ্ত আরেক পেশাদার কূটনীতিক ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে বাংলাদেশে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব দিয়ে পাঠায়।
মার্কিন কূটনৈতিক বিশ্লেষক জন ডানিলোভিচ বাংলাদেশ সময় বুধবার ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, বাংলাদেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনের জন্য ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মার্কিন সিনেট দ্রুত এ মনোনয়ন অনুমোদন করবে।


















