চব্বিশের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের পর এবার নতুন এক প্রেক্ষাপটে উদযাপিত হচ্ছে মহান মে দিবস। দিনটি উদযাপনে শ্রমিকদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে উঠেছে রাজধানীর পল্টন এলাকা। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মে দিবসের সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই সরব হয়ে উঠ নয়া পল্টন ও পুরানো পল্টন এলাকা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করেন হাজার হাজার শ্রমিক। এ সময় শ্রমিকদের মিছিল-স্লোগানে সরব হয়ে উঠে আশপাশের এলাকা। উৎসবমুখর হয়ে উঠে পরিবেশ। অনেকে ব্যান্ড পার্টি নিয়ে মিছিলে যোগ দেন, চলে জাগরণী গান।
দুই কর্মসূচিকে ঘিরে গোটা পল্টন ছাড়িয়ে উত্তরে কাকরাইল মোড়, দক্ষিণে মুক্তাঙ্গন, উত্তরে ফকিরাপুল মোড় ও পশ্চিমে প্রেস ক্লাব মোড় পর্যন্ত ভিড় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে সীমিত হয়ে পড়ে যান চলাচল। তবে, দুপুর ১২টার দিকে জামায়াতের সমাবেশ শেষ হবার পর পুরানো পল্টন এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে পড়ে।
নয়া পল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ব্যানারে মে দিবসের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল সাড়ে ১০ টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়া পল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আসছিলেন নেতা কর্মীরা।
দুপুর ২টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই শ্রমিক সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারাও বক্তব্য দেবেন। সমাবেশে শ্রমিক দল তাদের ১২ দফা দাবি তুলে ধরবে।
সকাল ৯টা থেকে পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশ করছে জামায়াতের শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। সেখানে প্রধান অতিথি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশটি।
মুক্তি ভবনের সামনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সমাবেশে উপস্থিত রয়েছেন সিপিবি সভাপতি শাহ আলম ও লাকী আক্তারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এর আগে তারা মিছিল করেছেন। আর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে শ্রমিক সমাবেশ করছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামি আন্দোলনের বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
তোপখানা রোডে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন, হোটেল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।