সোমবার , ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

মালয়েশিয়া বাংলাদেশ দ্রতাবাসে ডেপুটি হাইকমিশনার খাস্তগীরের বিরুদ্ধে শত অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ নির্বিকার

প্রতিবেদক
Newsdesk
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫ ৮:১৯ অপরাহ্ণ

পরিবার ছেড়ে বিদেশে থাকা প্রবাসীদের কাছে পাসপোর্ট থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই পাসপোর্ট সিন্ডিকেট করে ড. মোহাম্মাদ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে প্রবাসীদের ক্ষেপিয়ে তোলার অপচেষ্টা করছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার মোঃ খোরশেদ আলম খাস্তগীর।

ইতোমধ্যেই প্রবাসীদের যমদূত তকমা পাওয়া ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মাদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর প্রবাসীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসীর সংবেদনশীল তথ্য বেসরকারি আউটসোর্সিং কোম্পানি এক্সপাট সার্ভিসেস কুয়ালালামপুর (ইএসকেএল)-এর হাতে তুলে দেওয়া, প্রবাসীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলা। অনৈতিকভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইএসকেএলকে কোন প্রকার চুক্তি ছাড়াই অনৈতিক সুবিধা দেয়া, কলিং ভিসা বাণিজ্যেসহ একাধিক অভিযোগ বিরুদ্ধে।

এছাড়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে খাস্তগীরের স্ত্রী সেগুপ্তা দিলশাদ ৫ই আগস্ট সোশাল মিডিয়াতে উষ্কানীমূলক প্রচারণা চালান। এমনকি ভারতীয় নাগরিকদের দিয়ে কুয়ালামপুরের হাইকমিশনের সামনে একাধিকবার বিক্ষোভ করিয়েছেন খাস্তগীর দম্পতি।

অন্যদিকে ইএসকেএলকে ফিরিয়ে আনতে অপতৎপরতা চালাচ্ছেন শত অভিযোগে অভিযুক্ত ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মাদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর গং। কেননা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা পাওয়ার কিছুদিন আগেই আগামী ৫ বছরের জন্য ইএসকেএল এর চুক্তি নবায়নের সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলেন খাস্তগীর।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ইএসকেএলের মালিক গিয়াসউদ্দিন এক সময় বাংলাদেশে গরুর খামার চালাতেন। গরু ব্যবসায়ী ব্রিটিশ নাগরিক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুল মোমেন এর পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে অসংখ্য সংবাদ প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি কতৃপর্ক্ষের। আর তাই এখনো দূতাবাসে বহাল তবিয়তেই আছেন খাস্তগীর।

এপয়েন্টমেন্টের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে এপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই সেবা দেয়া, প্রবাসীদের মারধর, নতুন অফিস স্থাপন না করার শর্তভঙ্গসহ অসংখ্য অপরাধ গণমাধ্যমে আসলে ইএকেএল এর চুক্তি নবায়ন না করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেয়া হয়।

কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত আরো ৩ মাস সময় দিয়ে ইএসকেএলকে টার্মিনেট করার চিঠি দেয় খোরশেদ আলম খাস্তগীর গং। অভিযোগ রয়েছে অতিরিক্ত ৩ মাসে ইএসকেএল যেন চুক্তি নবায়ন করতে পারে।

ই-পাসপোর্ট উদ্বোধনের ঠিক দুদিন পরই ২০ ও ২১ এপ্রিল বন্ধের দিনে দূতাবাসের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই বাংলাদেশ মিশনের পাসপোর্ট সেন্টার থেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, ভিসা ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রবাসীদের ‘ডেটা সার্ভার’ এক প্রকার সন্ত্রাসী কায়দায় খুলে নিয়ে যায় ইএসকেএল।
দূতাবাসের ওয়্যারিংয়ের তার কেটে পাসপোর্টের ডাটা সার্ভার তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে গোপন ভিডিওতে। সার্ভার কক্ষের জন্য ফ্লোর দিয়ে টেনে আনা ওয়্যারিং ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশনেরও সবকটি তার এমনভাবে কাটা হয়েছে যে তা ফের চাইলেও যুক্ত করা সম্ভব নয়। তাড়াহুড়া করে এসব তার কেটে যন্ত্রপাতি সরাতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় বিপুল পরিমাণ অর্থের ক্ষতি হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সার্ভারসহ ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম লোপাটে দূতাবাসের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন।

প্রবাসীদের যমদূতখ্যাত খাস্তগীরকে বাহরাইন সরকার প্রত্যাখ্যান করলেও তিনি থাকতে চান মালয়েশিয়াতেই। এমন গুনজনে প্রবাসীরা বলেন মালয়েশিয়া যেন খাস্তগীরের পৈত্রিক নিবাস।

সর্বশেষ - রাজনীতি