খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের রয়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তাকে বহনকারী কাতারের আমিরের বিশেষ বিমানটি (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দর ত্যাগ করার পর গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওনা হবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই বিমানবন্দরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই নেতাকর্মীরা বাইরের সড়কে জড়ো হন। সেখানে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। তারা বলছেন, দলীয় নেত্রীকে এক নজর দেখতে এবং তাকে স্বাগত জানাতে তারা জড়ো হয়েছেন।
খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষ্যে বিমানবন্দর এলাকায় অতিরিক্ত জনসমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ট্র্যাফিক পুলিশেরও ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন তার বড় ছেলে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি।
বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পরে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে রওনা দেন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান ছেলে তারেক রহমান ও নাতনী জাইমা রহমান। তার সাথে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান।
দলের নির্দেশনা অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি অবস্থান করবে বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত। ছাত্রদল অবস্থান করবে লা মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত। যুবদল অবস্থান করবে খিলক্ষেত থেকে হোটেল র্যাডিসন পর্যন্ত।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি অবস্থান করবে হোটেল র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত। স্বেচ্ছাসেবক দল অবস্থান করবে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত। কৃষক দল অবস্থান করবে বনানী কবরস্থান থেকে কাকলি মোড় পর্যন্ত। শ্রমিক দল অবস্থান করবে কাকলি মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত।