সোমবার , ২৬ মে ২০২৫ | ১১ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. খুলনা
  7. খেলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

সময় হলে দেশের মাটিতে সবকিছুরই মূল্যায়ন হবে- ওবায়দুল কাদের

প্রতিবেদক
Newsdesk
মে ২৬, ২০২৫ ৩:৩১ অপরাহ্ণ

দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে আলোচিত ‘জুলাই বিপ্লব’ নিয়ে মুখ খুললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ভারতের গণমাধ্যম দ্য ওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৫ আগস্টের সেই উত্তাল দিনটির বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি জানান, ছাত্র-জনতার সেই অভ্যুত্থানের সময় তিনি প্রাণে বেঁচেছিলেন ‘সৌভাগ্যক্রমে’। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তিনি এবং তার স্ত্রী একটি বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন বলেও জানান তিনি।

কাদের বলেন, সেদিন তার নিজ এলাকায় থাকা নিজের বাসায় না থেকে পাশের একটি বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বাসাতেও হামলা হয়। ভাঙচুর আর লুটপাটের মধ্যে হঠাৎই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

‘আমরা বাথরুমে লুকিয়ে ছিলাম। আমার স্ত্রী মুখে বলছিলেন আমি অসুস্থ। এরপরও ওরা ঢুকতে চাচ্ছিল। একপর্যায়ে বললাম, দরজা খুলে দাও‘, বলেন কাদের।

বাথরুমে ঢোকা ছেলেগুলোর আচরণ প্রথমে উত্তেজনাপূর্ণ হলেও, হঠাৎই তাদের মধ্যে আচরণ বদলে যায়। কেউ কেউ কাদেরের সঙ্গে সেলফি তুলতে শুরু করে। আবার কেউ তাকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার কথাও বলেছিল। শেষপর্যন্ত তাদেরই কয়েকজন তাকে ও তার স্ত্রীকে একটি অটোতে তুলে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায়।

‘ওরা বলছিল চাচা-চাচি অসুস্থ, হাসপাতালে নিচ্ছি। এর ফলে বিভিন্ন চেকপোস্ট পার হয়ে যেতে পেরেছি’, জানান তিনি।

এই অভ্যুত্থানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কাদের বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক অভ্যুত্থান ছিল না বরং ‘লুটপাটের লুম্পেন কায়দায় সংঘটিত’ ঘটনা ছিল। তিনি বলেন, ‘এটা ছাত্রদের আন্দোলনের ছদ্মাবরণে একটি ষড়যন্ত্রমূলক বিস্ফোরণ ছিল।’

এক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের দাবি তিনি কখনো ছাত্রলীগকে আন্দোলন দমনে নামাতে বলেননি। এই বিষয়ে ইউটিউবে যে ভিডিও ছড়িয়েছে, তা ছিল লন্ডন প্রবাসী ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদারের প্রচারিত একটি পুরনো ভিডিওর ওপর ভিত্তি করে। সেখানে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

‘আমি ছাত্রলীগকে নামাতে বলেছি—এই কথাটা যে বলেছে, সে ভিডিওটা এডিট করে বলেছে। ছাত্রলীগের নামই ছিল না। ও (নিঝুম) নিজে ইউটিউবে এটা ছড়িয়েছে‘, বলেন কাদের।

কাদের জানান, ঘটনার পর তিনি প্রায় তিন মাস দেশেই ছিলেন। তখন তিনি বিভিন্ন শ্রমিক আন্দোলন ও অসন্তোষ পর্যবেক্ষণ করছিলেন। পরে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে গেলে এবং একাধিক মামলায় আসামি হয়ে পড়লে, স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে দেশত্যাগ করেন।

‘আমি বাইপাস সার্জারির রোগী। ধরা পড়লে ওষুধ খাওয়াবে কে? তাই সিদ্ধান্ত নিই বেরিয়ে যাওয়ার’, বলেন তিনি।

তিনি স্মরণ করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পরও তিনি কলকাতায় ছিলেন ৯ মাস। এরপর একাধিকবার ভারতে গেছেন, তবে মূলত রাজনৈতিক দায়িত্বের সূত্রে।

ভুল স্বীকার? দায় নিলেন আংশিক
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পেছনে জনপ্রিয় অসন্তোষ ও দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভের কথা অনেকেই বললেও, কাদের তা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, কোটা আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে এটি ষড়যন্ত্রের রূপ নেয়। এটি ছিল একটি গোয়েন্দা ব্যর্থতা।

জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে দায় নিচ্ছেন কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। ভুল থাকতে পারে। তবে চাঁদাবাজি করিনি, কমিশন নেইনি, দল গঠনে টাকার বিনিময়ে পদ দিইনি। এ বিষয়ে আমি নির্দোষ।’

দীর্ঘ সময় তাকে প্রকাশ্যে দেখা না যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে অনেকেই বলে চুপ থাকতে বলা হয়েছিল। এটা যারা বলে, তারা বলতে পছন্দ করে। কিন্তু আমি অসুস্থ ছিলাম। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নিজেই খোঁজ নিয়েছেন।’

শেষ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে যা দিয়েছি, তা তুলনার বাইরে। সময় হলে দেশের মাটিতে সবকিছুরই মূল্যায়ন হবে

সর্বশেষ - আইন-আদালত