খাগড়াছড়িতে বিজু উৎসবে যাওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থীরা খাগড়াছড়ি থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে অপহৃত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
পিসিপি’র দাবি, বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে জেলা সদরের গিরিফুর এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীদের অপহরণ করা হয়েছে।
তাদের ভাষ্যমতে অপহৃতরা হলেন- চবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও পিসিপির চবি শাখার সদস্য রিশন চাকমা, চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা, একই বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো।
পিসিপির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমার সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, অপহৃত শিক্ষার্থীরা পাহাড়ের বিজু উৎসব উপলক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। উৎসব শেষে মঙ্গলবার চবি’র ক্যাম্পাসে ফেরার উদ্দেশ্যে বাঘাইছড়ি থেকে দীঘিনালা হয়ে খাগড়াছড়ি সদরে যান। তবে ওই দিন চট্টগ্রামগামী বাসের টিকেট না পাওয়ায় তারা খাগড়াছড়ি শহর থেকে কিছু দূরে কুকিছড়া নামক জায়গায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত যাপন করেন। বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের কুকিছড়া থেকে অটোরিকশায় খাগড়াছড়ি সদরের স্টেশনে যাচ্ছিলেন। পথে গিরিফুল এলাকায় একদল অস্ত্রধারী তাদের গাড়ি গতিরোধ করে। পরে অস্ত্রধারীরা অটোর চালকসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে অজ্ঞাত স্থানে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
তবে এই তথ্য তিনি কীভাবে জেনেছেন তা ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, অপহরণের সঙ্গে তার সংগঠন জড়িত নয়। ইউপিডিএফ সবসময় সংঘাত বন্ধের পক্ষে, তাই এ অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকা প্রশ্নই আসে না।ইউপিডিএফকে জড়ানো হয়েছে একটি ষড়যন্ত্রের অংশ।
খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম জানান, অপহরণের বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছেন। বর্তমানে দপ্তরিক কাজে মহালছড়ি উপজেলায় রয়েছেন। খাগড়াছড়ি সদরে গেলে বিস্তার তথ্য নিয়ে জানাতে পারবেন।