শুক্রবার , ২২ মার্চ ২০২৪ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

জিম্মী জাহাজ আবদুল্লাহর কাছেই ইইউ যুদ্ধজাহাজ, কপ্টার নিয়ে চক্কর  

প্রতিবেদক
Newsdesk
মার্চ ২২, ২০২৪ ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ওপর নজর রাখছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্সের (ইইউএনএভিএফওআর) একটি যুদ্ধজাহাজ, যাদের কার্যক্রম অপারেশন আটলান্টা হিসেবে পরিচিত।

অপারেশন আটলান্টা একটি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে অবস্থানের পাশাপাশি সেখান থেকে হেলিকপ্টার নিয়েও জিম্মি জাহাজের আশপাশে চক্কর দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে এমনই একটি ছবি ও বিডিও তাদের এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করা হয়েছে।

এক্সে তিনটি ছবির সঙ্গে আট সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে অপারেশন আটলান্টা। এতে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজের কাছেই অবস্থান নিয়েছে যুদ্ধজাহাজটি।

আর সেখান থেকে বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজও দেখা যাচ্ছে। অপারেশন আটলান্টার যুদ্ধজাহাজ থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার এমভি আবদুল্লাহর ওপর চক্কর দিচ্ছে এমন ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অপারেশন আটলান্টার যুদ্ধজাহাজের সামনে রণ প্রস্তুতি দাঁড়িয়ে অস্ত্রসজ্জিত দুই সেনা। আর এমভি আবদুল্লাহর আশপাশ দিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে হেলিকপ্টার।

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উদ্দেশ্যে রওনা হয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী কবির গ্রুপের জাহাজটি। পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে।

মোগাদিসু থেকে এক হাজার ১১১ কিলোমিটার পূর্বে ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই করে বাণিজ্যিক কার্গো জাহাজটিকে প্রথমে নেয়া হয় সোমালিয়ার গারাকাড এলাকায়। উপকূল থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দুরে নোঙর ফেলা হয়।

এরপর আবার অবস্থান বদলে আবদুল্লাহকে নেয়া হয় গদবজিরান উপকূল এলাকায়। সেখান থেকে সরিয়ে নোঙর ফেলা হয় উপকূলের মাত্র সাড়ে ৭ কিলোমিটার দূরে। তারপর আরো এগিয়ে উপকূলের পৌনে তিন কিলোমিটার দূরত্বে নেয়া হয়েছে।

এরি মধ্যে গত সোমবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে জিম্মি জাহাজ ও অপহৃত নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আর এ কাজে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীকে সহায়তা করতে সোমালি পুলিশকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

এরপরই বুধবার সোমালিয়ার জলদস্যুরা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জাহাজের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেনের সঙ্গেও কথা হয় মালিকপক্ষের।

দস্যুদের যোগাযোগের পর সমঝোতার মাধ্যমে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনা যাবে বলে আশা সৃষ্টি হয়েছে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক