নাটোরের লালপুর থানা থেকে এজাহারভুক্ত আসামি নাটোর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুব্বেল উদ্দিনকে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ৮ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে থানা থেকে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
রুবেল উদ্দীন উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে৷ পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় ২০২৪ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাগাতিপাড়া উপজেলায় বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদের বাড়িতে গুলিবর্ষণ এর ঘটনায় আজ সাড়ে তিনটায় রুবেলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় লালপুর থানা পুলিশ। এ সময় খবর পেয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীরা থানায় উপস্থিত হয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে৷ এ সময় আসামিকে ছাড়তে অসম্মতি জানলে এক পর্যায়ে হট্টগোল করে থানা থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়৷
তবে এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার মো: আমজাদ হোসেন বলেন, বাগাতিপাড়ায় ১৬ ডিসেম্বর আব্দুর রশিদের বাড়িতে গোলাগুলির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা সন্দেহে রুবেল উদ্দিনকে লালপুর থানায় নিয়ে আসে। পরে ওদের লোকজন থানার এসে জোরাজোরি করে তাকে নিয়ে গেছে, কারা এই ঘটনায় জড়িত আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। আমরা কিছু নামও পেয়েছি, তাদেরসহ ঘটনায় জড়িত সকলকে গ্রেপ্তারের জন্য যৌথবাহিনী কাজ করছে।
জানতে চাইলে লালপুর থানায় কর্মরত ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) এখন ব্যস্ত আছি পরে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মরহুম ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে ফারজানা রহমান পুতুল ও ছেলে রাজনের মধ্যে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদের বাড়িতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে এজাহারভুক্ত আসামি রুবেলকে গ্রেপ্তার করে লালপুর থানায় নিয়ে আসে। কিন্তু মঙ্গলবার ৮ এপ্রিল ফারজানা পুতুলের সমর্থক ও নেতাকর্মীরা থানা জড়ো হয়ে আসামি ছাত্রদল নেতা রুবেলকে থানা থেকে ছিনতাই করে নিয়ে যায়।