রবিবার , ২৭ আগস্ট ২০২৩ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

কংগ্রেসম্যানের তথ্য চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবাদ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের চিঠি

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ২৭, ২০২৩ ৮:৪৩ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জো বাইডেন প্রশাসনের কাছে লেখা ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠির প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সত্য তথ্য তুলে ধরে পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসাবসরত বাঙালিদের সংগঠন ‘কংগ্রেস অব বাংলাদেশী আমেরিকান ইনকরপোরেশন’।

এ বছরের ১৭মে বাইডেন প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠান ওই ছয় রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান। বাংলাদেশের মানবাধিকার ও আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে নানা অভিযোগ করেন তারা। এর প্রতিবাদে ২৬ আগস্ট ২৬৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশির সই করা চিঠিতে কংগ্রেসম্যানদের উল্লেখিত তথ্যের সত্যতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। সেই সঙ্গে জানানো হয়, নিজের জন্মভূমি সম্পর্কে মিথ্যা ও অসম্পূর্ণ তথ্য লেখার জন্য গর্বিত বাংলাদেশি হিসাবে তাদের অনুভূতিকে আহত করা হয়েছে।

চিঠিতে জানানো হয়, গত এক দশকে বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী-পুরুষের সমধিকার, নারী উন্নয়ন প্রগতি, ধর্মীয় সহিষ্ণুতাকে বিবেচনা না করে খুবই সংকীর্ণ আর একচোখাভাবে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা হয়েছে।

সংগঠনের সদস্যরা চিঠিতে মনে করিয়ে দেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীসহ বাংলাদেশবিরোধী দলগুলো বিভিন্ন সময় টাকার বিনিময়ে লবিস্ট ফার্ম দিয়ে এসব অপপ্রচার চালিয়ে থাকে।

চিঠিতে হিন্দু বৌধ ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশী খ্রিস্টান কমিউনিটি প্রধানের বক্তব্য এবং বক্তব্যের নিউজ লিংক যুক্ত করে সংখ্যালঘুদের দৃষ্টিতে বাংলাদেশে তাদের অবস্থনকে তুলে ধরা হয়। তথ্য-প্রমাণে সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে সকলেই সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের হয়ে শান্তিরক্ষা করতে গিয়ে বিদ্রোহীদের হাতে নিহতদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে বিচ্ছিন্ন দু’একটি ঘটনার কারণে এত বিশাল অবদান আর আত্মত্যাগ কি অস্বীকার করবে জাতিসংঘ? জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের উজ্জ্বল অংশগ্রহণকে নিষিদ্ধ করা কোনোভাবেই নীতি-নৈতিকতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

বিশ্ব মানবতা রক্ষায় ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রায় ১৪ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেয়। এত বিশাল সংখ্যক উদ্বাস্তু পৃথিবীর আর কোনো দেশ এক সাথে আশ্রয় দেয়নি উল্লেখ করে মানবতা রক্ষায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও প্রধানমন্ত্রীর অবদান তুলে ধরে চিঠিতে বলা হয়, শেখ হাসিনা নিজ দেশের স্বার্থের কথা না ভেবে এত বিশাল সংখ্যক অসহায় উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়ে জাতিসংঘ থেকে ‘মাদার অব ইউমিনিটি’ হিসাবে স্বীকৃত হন।

গণতন্ত্র নস্যাতের অভিযোগের জবাবে বাংলাদেশি আমেরিকানদের সংগঠন অতীতের গণতন্ত্র ধ্বংসকারী বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস ও একনায়কতান্ত্রিক শাসনের কথা উল্লেখ করে প্রমাণ করেন বর্তমানে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আর আইনের শাসনের উন্নতির গ্রাফ।

বলা হয়, আমেরিকার হিসেবে উনারা ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে, কিন্তু তারপরেও আমেরিকা গণতন্ত্র ব্যবস্থা, মানবিক অধিকার, ধর্মীয় অধিকার নিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সে তুলনায় ৫২ বছর বয়সি বাংলাদেশের চেষ্টা প্রশংসার দাবি রাখে কি না, সেই প্রশ্ন করা হয় সিনেটরদের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং মানবতা উন্নয়নের চারটি দিক উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, প্রথমত, টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই দুর্নীতি দমনে কার্যকর ও সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের নানা পর্যায়ে দুর্নীতি কমে আসছে ক্রমান্বয়ে। দীর্ঘ সময় অবৈধ সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি ও অন্যান্য স্বৈরশাসক শাসকের আমলে দুর্নীতির শিকড় এত গভীরে বিস্তার লাভ করেছিল যে, রাতারাতি তা নির্মুল করা সম্ভব নয়।

দ্বিতীয়ত, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানসহ সামরিক শাসকদের দুঃশাসন ও ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত বাংলাদেশ ১৯৯৬ সালে শেখা হাসিনার নেতৃত্বে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসে। ইতিহাস থেকে আমরা জানি, দীর্ঘদিন সামরিক শাসিত একটি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কোনো সহজ কাজ নয়। তারপরেও বর্তমান সরকার চেষ্টা করছে আন্তর্জাতিক মানের গণতান্ত্রিক ভাবধারায় বাংলাদেশকে উন্নত করতে।

জঙ্গি উত্থান নিয়ে সতর্ক করা হলো ১৪ কংগ্রেসম্যানকেজঙ্গি উত্থান নিয়ে সতর্ক করা হলো ১৪ কংগ্রেসম্যানকে

তৃতীয়ত, রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিরোধী মতকে দমন-নিপীড়ন ও হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছিল বিএনপি-জামাত সমর্থিত ও সামরিক শাসকদের আমল থেকে। সেখান থেকে বাংলাদেশকে আইনের শাসনে ফিরিয়ে এনে সন্ত্রাস-মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স দেখিয়ে সুশাসনের ধারায় ফিরছে বাংলাদেশ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

চতুর্থত, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং একইসাথে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের মার্কিন বন্ধুদের আঞ্চলিক নিরাপত্তা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার ওপরে নির্ভর করে। বাংলাদেশে আবার যদি বিএনপি-জামাত সমর্থিত সরকার গঠিত হয়, তাহলে এ অঞ্চলে মৌলবাদের বিস্তার লাভ করবে আগের মতো, যা প্রতিবেশী দেশ ভারতের জন্যও হুমকিস্বরূপ। ২০০১-০৬ পর্যন্ত এ বিএনপি-জামাত সরকারের ছত্রছায়াতেই এ অঞ্চলে ইসলামি জিহাদি আর সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ ও সদরদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা ছড়িয়ে পড়েছিল দক্ষিণ পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যে।

কংগ্রেসম্যানদের জবাব দেয়া চিঠিতে সই করা ২৬৭ জন বাংলাদেশি আমেরিকানদের মধ্যে রয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, মার্কিন সরকারের উচ্চপদে কর্মরত বাংলাদেশি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত তরুণরা।

যাদের মধ্যে সাংগঠনিকভাবে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকি, চেয়ারম্যান, কংগ্রেস অব বাংলাদেশ আমেরিকা ইনকো, শামীম চৌধুরি, প্রধান পরামর্শদাতা, কংগ্রেস অব বাংলাদেশ আমেরিকা, মঞ্জুর চৌধুরি, মহাসচিব, কংগ্রেস অব বাংলাদেশ আমেরিকা, প্রদীপ রঞ্জন কর, পরামর্শদাতা, কংগ্রেস অব বাংলাদেশ আমেরিকা, শাহ মো: বখতিয়ার, পরিচালক, কংগ্রেস অব বাংলাদেশ আমেরিকা ইনকো।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক